কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৫৯ হাজার ৪২৩ জন। যা গত বছরের তুলনায় ৩৪ হাজার ৩৭৯ জন কম। গত বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮০২ জন।
এ বছরের মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে নিয়মিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ২৯ হাজার ৭০ জন এবং অনিয়মিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩০ হাজার ৩৫৩ জন। এ বছরের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৬৭ হাজার ৯৫৪ জন ছেলে এবং ৯১ হাজার ৪৬৯ জন মেয়ে রয়েছে। ছেলেদের চেয়ে মেয়ে পরীক্ষার্থী ২৩ হাজার ৫১৫ জন বেশি। বিভাগ ভিত্তিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা হচ্ছে বিজ্ঞানে ৪৪ হাজার ৬৪ জন। এর মধ্যে ছাত্র ২২ হাজার ৪২৪ ও ছাত্রী ২২ হাজার ৩৪০। মানবিকে ৫৫ হাজার ৬০৫। এর মধ্যে ছাত্র ১৩ হাজার ২২ জন ও ছাত্রী ৪২ হাজার ৫৮৩ জন। ব্যবসাশিক্ষায় পরীক্ষার্থী ৫৯ হাজার ৫৪ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৩২ হাজার ৫০৮ জন ও ছাত্রী ২৬ হাজার ৫৪৬ জন। গত বছর এই শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১ হাজার ৭১৭টি স্কুলের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এবার অংশ নিচ্ছে ১ হাজার ৭৩২টি স্কুলের পরীক্ষার্থী। যা গত বছরের তুলনায় ১৫টি স্কুল বেশি। গত বারের চেয়ে এবার কেন্দ্রের সংখ্যাও বেড়েছে। গত বছর কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ২৫৬টি। এবার কেন্দ্রের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৪টি। যা গত বছরের চাইতে ৮টি বেশি।
সূত্র আরও জানায়, ২০১৮ সালে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া ১ লাখ ৫৪ হাজার ১৮৪ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন করে। কিন্তু ২০১৯ সালে দশম শ্রেণির টেস্ট পরীক্ষার পর এসএসসির ফরম পূরণ করে ১ লাখ ২৯ হাজার ৭০ জন। এ পর্যায়ে ঝরে পড়ে ২৫ হাজার ১১৪ জন শিক্ষার্থী।
এ বছর কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধিভুক্ত ৬ জেলায় জেলা ভিত্তিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা হচ্ছে কুমিল্লায় মোট ৫৪ হাজার ৮২৫ জন। ব্রাহ্মণবাড়ীয়ায় মোট পরীক্ষার্থী ২২ হাজার ৬৪৮ জন। চাঁদপুরে মোট পরীক্ষার্থী ২৭ হাজার ১৯১ জন। নোয়াখালীতে মোট পরীক্ষার্থী ২৭ হাজার ৫৯৩ জন। ফেনীতে মোট পরীক্ষার্থী ১৪ হাজার ২৭১ জন। লক্ষ্মীপুরে মোট পরীক্ষার্থী ১২ হাজার ৮৯৫ জন।
এব্যাপারে বোর্ডের ডেপুটি কন্ট্রোলার সহিদুল ইসলাম বলেন, ২০১৭ সালে এ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা দেয়া জেএসসি পরীক্ষার্থীদের ফলাফল ভালো হয়নি। এ কারণে ২০১৮ সালে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী সংখ্যা কমে যায়। এর জেরেই এ বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যাও কমেছে। এ ছাড়াও দশম শ্রেণির টেস্ট পরীক্ষায় সকল বিষয়ে উত্তীর্ণ না হলে আমরা কাউকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে দেই না।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. আবদুস সালাম বলেন, ‘২০১৯ সালের তুলনায় ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। আমরা চেষ্ট করি নিয়মিত-অনিয়মিত মিলে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা যেন না কমে সেদিকে নজর রাখতে।’